১। এম বি বিএস
২। বিডিএস
৩। ডেপ্লোমা ইন হেলথ টেকনোলজি
৪) কোর্সের নাম- বিএসসি ইন নার্সিং
কোর্সের মেয়াদ- পাচ বৎসর+১ বৎসর ইন্টার্ন (৬ বছর) ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা- এইচএসসি
Bachelor in Medicine & Bachelor in Surgery (MBBS) কোর্সটি দেশের একমাত্র কোর্স যেখানে একই সাথে দুটি বিষয়ে (মেডিসিন ও সার্জারি) করানো হয়। →সময়:
MBBS কোর্সটি ৫ বছর ব্যাপী একটি কোর্স। এরপর এক (১) বছর ইন্টার্নশিপ রয়েছে। তবে ইন্টার্নী করার সময় ডাক্তারগণ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন।
→যা পড়ানো হয়: ৫ বছর ব্যাপী ও কোর্সটিতে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মেডিসিন, সার্জারী ও গাইনকোলজি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
→চাহিদা
সমাজে ডাক্তারদের চাহিদা সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছুই নেই। সেই আনাদিকাল থেকে ডাক্তারগণ সমাজের অবকাঠামোর অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে টিকে আছেন। সমাজের সর্বত্রই ডাক্তারদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং সম্ভবত পেশাগত মর্যাদার দিক থেকে ডাক্তাররাই সবার চেয়ে এগিয়ে। এই পেশায় একদিকে যেমন সম্মান অন্যদিকে হালাল উপায়ে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে একজন ডাক্তার শুধু MBBS ডিগ্রি নিয়েও এই সামাজে সম্মানের সাথে টিকে থাকতে পারেন।
এই অনার্স ডিগ্রি নেওয়ার পর একজন ডাক্তর যেমন সরাসরি চিকিৎসা সেবায় অংশগ্রহন করতে পারেন এবং ক্লিনিক্যাল সেক্টরে উচ্চতর ডিগ্রি যেমন এম ডি/ এম এস (চিকিৎসা শাস্ত্রে মাস্টার্স কোর্স) অথবা এফসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়াম এন্ড সার্জনস কর্তৃক প্রদত্ত এমআরসিপি (রয়েল কলেজ অব ইংল্যান্ড কর্তৃক প্রদত্ত) ইত্যাদি করার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন আবার এমবিবিএস করার পর বিভিন্ন নন ক্লিনিক্যাল সবাজেক্ট যেমন হেলথ ইকোনমিক্স, পাবলিক হেলথ, মাইক্রোবায়েলজি, এম্ত্রায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইম্মুউনোলজি, বায়োক্যাম্যাষ্ট্রি ইত্যাদির মত অসংখ্য কোর্সে মাষ্টার্স বা পিএইচডিকরা যায়।
→বিষয় রেটিং চাহিদার দিক থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিষয়সমূহ পাশাপাশি ডাক্তারীও শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রতিবছর মেডিকেল কলেজগুলোতে শীর্ষ মেধাবীরা পেশা হিসাবে ডাক্তারী বেছে নেবার জন্য ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ন হয়।
→কোথায় পড়ানো হয়
→এখন দেশে২৯টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন ৩ হাজার ১৬২টি। তবে এই শিক্ষাবর্ষ থেকে আরো নতুন সাতটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্র ভর্তির সুযোগ থাকবে।
এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে আসন সংখ্যা ৩১৬২টি। ছাত্রদের পছন্দ ও মেধাস্থান অনুযায়ী কে কোন মেডিকেলে চান্স পাবে তা নির্ধারিত হয়।
→বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৫৬টি। আসন ৫ হাজার ৩২৫টি। ডেন্টাল কলেজ ২৩টি। আসন ১ হাজার ২৮০টি।
কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এর নাম-
১. ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বক্শিবাজার, ঢাকা
২. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিডফোর্ড, ঢাকা-১১০০
৩. ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ময়মনসিংহ
৪ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ রাজশাহী
৫. চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ কবি ফজলুল কবির রোড, চট্রগ্রাম-৪০০০
৬. রংপুর মেডিক্যাল কলেজ রংপুর
৭. এম.এ .জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ সিলেট
৮. শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ বরিশাল
৯. খুলনা মেডিক্যাল কলেজ খুলনা
১০. ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ফরিদপুর
১১. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ বগুড়া
১২. দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ দিনাজপুর
১৩. কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ কুমিল্লা
১৪. আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা.
১৫. শহীদ সোহরাওয়ারদী মেডিক্যাল কলেজ শ্যামলী, ঢাকা
১৬. পাবনা মেডিক্যাল কলেজ পাবনা
১৭. নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ নোয়াখালী
১৮. কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ কক্সবাজার
১৯) Jessore Medical Colleg,e Jessore ,Khulna Division
২০)Satkhira Medical College
২১) Shahid Syed Nazrul Islam Medical College, Kishoreganj Dhaka Division ।
২২)Kushtia Medical College, Kushtia Khulna division
২৩) Sheikh Sayera Khatun Medical College, Gopalganj Dhaka division
২৪) Shaheed Tajuddin Ahmad Medical College, Gazipur Dhaka division
২৫) Tangail Medical College, Tangail Dhaka division
২৬) Jamalpur Medical College, Jamalpur Dhaka division
২৭) Manikganj Medical College,Manikganj Dhaka division
২৮)Shaheed M. Monsur Ali Medical College, Sirajganj Rajshahi Division
২৯)Patuakhali Medical College,Patuakhali Barisal division
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১. বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
২. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
৩. ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ ক্যাব টেকনোলজি, চট্টগ্রা ম। ৪. মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন্স, উত্তরা, ঢাকা।
৫. জরিনা শিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ, রায়ের বাজার, ঢাকা।
৬. ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৭. ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
৮. সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
৯. ডা. ইবরাহীম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১০. জালালাবাদ আর আর মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১১. ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, জনসন রোড, ঢাকা।
১২. কম্যুনিটি বেইসড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
১৩. নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১৪. হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১৫. নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। ইত্যাদি
সাধারণত সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তির পর এদেশের প্রাইভেট মেডিলেকল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে খরচ অত্যন্ত বেশি।
→উচ্চশিক্ষা
মেডিকেল সাইন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার জন্য বাংলাদেশে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেটি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ঢাকার শাহাবাগে অবস্থিত. এখানে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিষ্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, সিন-ডিডি কার্ডাওলজি, ইউরোলজি, নেক্রলজি, বেমাটোলজি ও গাইনিকোলজিতে এমফিল, এমডি করা যায়। এছাড়া সার্জারির বিভিন্ন বিষয়ে যেমন জেনারেল সার্জারি, ইএলটি অর্থপেডিক সার্জারি, নিউরোসার্জারি, সাইনাল সার্জারি, কার্ডিওথেরাপিক সার্জারি, হেপাটোরিলিয়ারী সার্জারি প্রভৃতি বিভাগে এমএস (MS) করা যায়। এছাড়াও শীর্ষস্থনীয় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমডি বা এম এস করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন যেমন- NICVD বা জাতিয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, NITOR বা পশু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতিয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রভৃতি স্থানে ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায় আর নিপসম এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নন-ক্লিনিক্যাল বা গবেষণামুলক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়।
→বিদেশে ভর্তি মেডিকেল এডুকেশন খুব ব্যয়বহুল হবার কারণে নিজ খরচে বিদেশে পড়ার খরচ চালানো কষ্টসাধ্য। এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই যেকোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছা করলে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে প্রতি বছর কোর্স ফি হিসাবে বাংলাদেশী টাকার ৪০-৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এজন্য সাধারণত ছাত্ররা দেশেই MBBS পাশ করে বিভিন্ন ডিগ্রির জন্য বিদেশে গমন করে। সেক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম হয়। বিদেশে ডিগ্রি নেবার ক্ষেত্রে “রয়াল ইউনিভর্সিটি অব ইংল্যান্ড” সবার চেয়ে এগিয়ে। এখান থেকে FRCS অথবা MRCP ডিগ্রি নিতে পারলে বিশ্বব্যাপী এ স্বীকৃতি রয়েছে। এছাড়া এভিনবার্গ, গ্লাসগো ও আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভর্সিটি থেকেও ডিগ্রি নেওয়া যায়।
এই অনেকগুলো পরীক্ষার প্রথম কয়েকটি অংশ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও দেওয়া যায়। যেমন MRCP, MRCS এর প্রথম দুটি অংশই কলকাতা থেকে দেওয়া যায়। এছাড়াও PLAB এর প্রথম অংশ বাংলাদেশে, দ্বিতীয় অংশ কলকাতায় দেওয়া যায়। এই সকল ইন্টারন্যাশনাল ডিগ্রি নেওয়ার সুবিধা হল এই যে, এই ডিগ্রি নেবার পর ডাক্তারগণ বিশ্বের যেকোন দেশে ডাক্তারি করতে পারবেন। এমবিবিএস ও ইন্টার্ণী করার পর ক্লিণিক্যাল বিষয়গুলোতে বিদেশে স্কলারশীপ খুবই নগন্য। তবে কয়েক বছর ট্রেইনিং থাকলে পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে অব সারডারশীপ ও পরবর্তীতে ফেলোশীপ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু নন-ক্লিনিক্যাল বিষয় বা গবেষণার জন্য খুব সহজেই স্কলারশীপ পাওয়া যায় এবং এক্ষেত্রে গবেষকের জন্য খুব লোভণীয় চাকরির সুযোগ রয়েছে।
→চাকুরি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির সুবিধা আছে। এছাড়া ডাক্তারগণ ইচ্ছা করলে বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সরকারি ক্যাডারভুক্ত হয়ে চাকুরি করতে পারেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তারা পর্যাপ্ত চাকুরির সুবিধা পাবেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান- জাতিসংঘ, WHO, CARE ইত্যাদিসহ অন্যান্য মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ থেকে পাশ করা বহু ডাক্তার এখন বিদেশে চাকুরিতে আছেন।
#ডেন্টাল_সার্জারি যা পড়ানো হয় গ্রাজুয়েশন লেভেলে ডেন্টাল বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি BDS’ (Bachelor in Dental Surgery) কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া ১ বছর ইন্টার্নীশিপ চালু রয়েছে। ডিমান্ড মেডিকেলের পাশাপাশি দেশে ডেন্টালের চাহিদাও ব্যাপক। বিসিএস এর সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাকুরির সুবিধা থাকায় অনেক পিতামাতাই তাদের সন্তানদের এই বিষয়ে পড়াতে আগ্রহী হয়। তাছাড়া প্রাইভেট প্রাকটিসের ব্যবস্থাতো রয়েছেই। সামাজিক মর্যাদার পাশাপাশি সততার সাথে অর্থ উপার্জনের সুযোগ এই পেশার জন্য বাড়তি আকর্ষণ।
কোথায় পড়ানো হয়
দেশে সরকারি ডেন্টাল কলেজ বর্তমানে ৯টি। এগুলো হল-
(ক) ঢাকা ডেন্টাল কলেজ
(খ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট
(গ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ইত্যাদি
এ ছাড়া নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজগুলোর ডেন্টাল বিভাগে আসন ৫৩২ এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজগুলোয় আসন ১ হাজার ৫০টি। এছাড়া দেশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে।
→উচ্চশিক্ষা পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেল BSMMU (IPGMR) থেকে এই বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়া যায়।
→বিদেশে ভর্তি “ডেন্টাল” এডুকেশন, মেডিকেল এডুকেশনের মত ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে গ্রাজুয়েশন লেভেলে বিদেশে ভর্তি কষ্টসাধ্য। গ্রাজুয়েশন লেভেলে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য Russia, Canada, England, Ireland এ ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে পোস্ট গ্রাজুয়েশন পর্যায়ে ডিগ্রি নেবার জন্য বিদেশে নামিদামি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের ডিগ্রি সারা বিশ্বেই স্বীকৃত। এদের মধ্যে Royal College of England অন্যতম। →স্কলারশীপ
ডেন্টাল বিষয়ে বৃত্তির সংখ্যা খুবই সীমাবদ্ধ- দেশেঃ (ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি
(খ) ইমদাদ সিতারা বৃত্তি
বিদেশেঃ
(ক) মনোবুশো বৃত্তি, জাপান (খ) কমনওয়েলথ বৃত্তি
চাকুরি ডেন্টাল ডাক্তারগণের জন্য সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও চাকুরির ব্যবস্থা আছে। বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজসমূহে চাকুরি নিতে পারেন। তাছাড়া তারা চাইলে প্রাইভেট প্রাকটিস বা ক্লিনিকেও চাকুরি নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ডিগ্রি নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন দেশে চাকরির জন্য যেতে পারেন।
#হেলথ_টেকনোলজি বাংলাদেশে ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি সরকারি হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ঢাকায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেমন- সাভারে সিআরপি-এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট। এসব প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল টেকনোলজি (যেমন, রেডিওলজি/ ইমেজিং), ফিজিওথেরাপী, ল্যাংগুয়েজ- থেরাপী, অবুপেশনাল থেরাপী ফার্মেসী, প্যাথলজী এন্ড ল্যাব টেকনোলজি, প্যারামেডিক্স প্রভৃতি বিষয়ে ডিপ্লোমা এবং অনার্স কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা কোর্সের সুবিধা হচ্ছে এসএসসি পাশ করার পরই তা কারা যায়। এসকল বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে প্রচুর খালি আছে এবং দেশের বাইরেও উচ্চ শিক্ষার্থে যাওয়ার সুযোগ আছে।
→চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে: আরো বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেগুলি কোন না কোনভাবে চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত এবং যে কেউ ক্যারিয়ার হিসেবে এ পেশাগুলো গ্রহণ করতে পারেন। নিচে এদের কয়েকটি সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হল- হেলথ ইকোনমিক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ব্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে হেলথ ইকনোমিক্স পড়া যায়। বড় বড় এনজিও ও WHO, UNICEF ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব লোভণীয় বেতনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। ব্রাক ইউনিভর্সিটিতে এ বিষয়ে স্কালারশীপ দেওয়া হয়। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই ভাল অংকের মেধা থাকতে হবে।
#পুষ্টিবিজ্ঞান : হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়া যায়।
#হেলথ_ম্যানেজমেন্ট : বড় বড় হসপিটাল পরিচালনা করার কৌশল নিয়ে এ বিষয় গড়ে উঠেছে। এমবিবিএস করার পর এ বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় অথবা সরাসরি বিবিএ করে হেলথ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করা যায়।
(তথ্যগুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কালেক্ট করা কিছু ভুল থাকলে সবাই ক্ষমার চোখ এ দেখবেন)
লেখা : রাগিব হাসান তপু , হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়