একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে , ""ঐ সমাজে বাস করা উচিত নয়, যেখানে একজনও আইনজীবী নেই""
আইনকে বলা হয় রাজকীয় সাবজেক্ট।আইনের ছাএদের মানুষ আলাদা চোখে দেখে।জগত সংসারে যতগুলো মর্যাদাবান পদ আছে সেগুলো আইনের ছাএদের দখলে থাকে বেশি।কোর্সসমূহ :১. ৪ বছর মেয়াদি L.L.B course২.২ বছর মেয়াদি L.L.M course৩.১ বছর মেয়াদি L.L.M course......---...........
আইন নিয়ে পড়ার সুযোগ অতি অল্প।বর্তমানে শুধু ঢাকা,রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাতে গোনা দু-একটি তে আইন বিষয়ে পড়ানো হয়।এক্ষেত্তে হিসাব করে দেখা গেছে প্রতি বছর গুটিকয়েক শিক্ষার্থী(2500 শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে একজন) আইন পড়ার সুযোগ পায়।(প্রাইভেট বিশ্ব: এর কথা বাদে)।
সুযোগ সুবিধা
1.বার কাউন্সিলের নিবন্ধনের মাধ্যমেএ্যাডভোকেট হওয়া।
2.জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে
3.বি.সি.এস এর মাধ্যমে সহকারী জজ হিসেব নিয়োগ লাভ।
4.লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী কোম্পানি ,ফার্ম বা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী লাভের সুযোগ।(যেখানে সব্বোর্চ বেতন এতটাই বেশি যে তা সম্পর্কে ধারণা করাটা বোকামি হিসেবে গণ্য করা হয়)
5.আর্মি সহ অন্যান্য বাহিনীতে লিগ্যাল কোঠায় সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ লাভ।
6.বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষকতা করার সুযোগ লাভ।
7.পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন বিষয় চালু হচ্ছে তাই প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে এক্ষেত্তে প্রতিযোগিতা সীমিত।
উপরিউক্ত ক্ষেএগুলো শুধু আইনের ছাএদের জন্য ।
এগুলো বাদেও B.C.S (শিক্ষা ক্যাডার বাদে)অন্যান্য সাধারণ ক্যাডার, ব্যাংক জব, পি,এস.সি ক্যাডারের সকল চাকুরীতে আইনের ছাএদের প্রাধান্য ও সুবিধা উভয়ই পেয়ে থাকে।
তাছাড়া লন্ডন থেকে "বার- এট- ল "ডিগ্রী নেয়ার মাধ্যমে ব্যারিষ্টার হতে পারবেন।((যার সাথে ক্ষেএবিশেষে শুধু পরামর্শের জন্য মিনিটে হাজার হাজার টাকা ঢালতে হবে।))
আসুন পরিচিত হই কিছু মুখের সাথে.. .
1.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
2.রাষ্টপতি আব্দুল হামিদ।
3.ড.মিজানুর রহমান (মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান. ..)
4.ড. সুলতানা কামাল।
5.আমাদের আইন মন্তণালয়ের মাননীয় প্রধান। (উনি মন্ত্রী কিন্তু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন।)আর্মি সহ অন্যান্য বাহিনীতে লিগ্যাল কোঠায় সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ লাভ।
কিছু ভুল ধারণা... .
1.আইন পেশা একটা ব্যবসা।
2.মানুষ ঠকিয়ে টাকা নেওয়া।
3.আইনের লোকেরা ই আইনের ভক্ষক ব্লা ব্লা ব্লা... ...........
একটা কথা মনে রাখবে, আইনের কোনো বই মানুষের লেখা না।
মুসলিম আইনের প্রতিটি ধারা কুরআন-হাদীস এর আলোকে লিখিত।তেমনি প্রতিটি ধারা পূঙ্খানুরুপে যাচাই বাছাই করা।মানুষ তার মুর্খতা ঢাকতেই একথা বলে থাকে।শুধুমাএ, আইন ও ডাক্তারি পড়ার মাধ্যমেই তুমি জনগণের এতো সেবা করতে পারবে যা অন্য পেশায় অসম্ভব।
আমাদের দেশ প্রশাসনিক তিনটি কাঠামো রয়েছে।
1.বিচার
2.আইন
3.নির্বাহী বিভাগ।
এদের মধ্যে বিচার বিভাগে প্রবেশাধিকার শুধু আইনের ছাত্রদের।বাকি ক্ষেত্র দুটোতেও রয়েছে অবাধ প্রবেশের অধিকার।
রিভিউইটি তৈরীতে সাহায্য করেছেন.. .
প্রফেসর ড. মো: আনিসুল ইসলাম স্যার অধ্যাপক, আইন ও বিচার বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পাদনা করেছেন: Roqunuzzaman Sarkar আইন ও বিচার বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।