University subject review

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(ETE)

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা সংক্ষেপে ইটিই। তুমি যদি বর্তমানে চাকরির বাজারে খোঁজ নিতে যাও হয়ত অনেকের কাছে শোনা লাগবে, “আরে ইটিই, বাংলাদেশে ইটিই এর কোন চাকরি নেই”! কিন্তু মানুষের কথায় কান দিয়ে কেউ উন্নতি করেনি জীবনে। তোমার যদি টেলিকমিউনিকেশন বা কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছে থাকে তাহলে ইটিই ডিপার্টমেন্টে তোমাকে স্বাগতম। আচ্ছা, তোমার ইচ্ছে তো হতে পারে ইলেক্ট্রনিকসের জগতে বিচরন করার, তাহলে?

চিন্তা নেই ইটিই তোমাকে সেই সুযোগ দিবে। জেনে রাখো, কমিউনিকেশনের জগতে ইলেকট্রনিকস ছাড়া চলা সম্ভব না, তাই দুটো একসাথে শিখানো হয় এইখানে! কোথায় কি করবা তা আগে না বলে বলি, কি কি পড়ানো হয় এইখানে: নেটওয়ার্কিং অ্যানালাইসিস অ্যান্ড সিনথেসিস থেকে শুরু করে ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সিস্টেম ইউজিং ম্যাটল্যাব, কমিউনিকেশন থিওরি, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং, ডিজিটাল কমিউনিকেশন,অ্যান্টেনা অ্যান্ড প্রোপাগেশন, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ডাটা কমিউনিকেশন,ওয়ারলেস অ্যান্ড মোবাইল কমিউনিকেশন,ফাইবার অপটিকস কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অ্যান্ড রাডার এর মত বিষয়গুলো পড়ানো হবে। নামগুলো থেকে হাল্কা ধারনা পাচ্ছো যে কি পড়ানো হবে তোমাকে।

ইলেকট্রনিক্স পিপাসু? সলিড স্টেট ডিভাইস তোমাদের প্রথম সেমিষ্টারে পড়ানো হবে তারপর অ্যানালগ ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস, কন্ট্রোল সিস্টেম, ভিএলএসআই ডিজাইন,মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং,মাইক্রোপ্রসেসর অ্যান্ড মাইক্রোকম্পিউটার রয়েছে। একটা পারসোনাল মতামত দিতে পারি, ইলেক্ট্রনকিস নিয়ে কাজ করতে চাও, ইইই না পেয়ে থাকলে ইটিই তে পড়তে পারো। চাকরি চাই, চাকরি চাই: চাকরি লাগবে? আচ্ছা ভাল কথা পোস্ট টা যে পড়ছো, কিসে, মোবাইলে না পিসি থেকে। যদি মোবাইল থেকে পড় তাহলে নিশ্চয় একটা কোম্পানির সিম লাগানো আছে। জি আমাদের দেশে বেশ কটা মোবাইল কোম্পানি আছে। জিপি,রবি,এয়ারটেল ইত্যাদি। এদিকে পিসি থেকে পড়ছো, ইন্টারনেট কানেকশন যে কোম্পানির সেটাতে কিন্তু কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার লাগে। ওয়াইম্যাক্স কোম্পানি তো আছে। সেই সাথে আছে International Gateway (IGW) Service Provider কোম্পানি, বিভিন্ন প্রকার ডাটা সার্ভিস কোম্পানি, নেটওয়ার্কিং ও কমিউনিকেশন রিলেটেড কোম্পানি, আইটি কোম্পানি গুলোতে রয়েছে কাজ করার সুযোগ। সেই সাথে কমিউনিকেশন ফিল্ডে নতুন প্রযুক্তি আসার সাথে সাথে তোমার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে চাকরীর ক্ষেত্র! বেতনের অংক টা ২০ থেকে ২৫ হাজার দিয়ে শুরু হয়। তোমার দক্ষতা তোমাকে বেতন বৃদ্ধি করবে। প্রধান কথা, হচ্ছে তুমি যদি যোগ্য হও, তোমার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে তোমার জন্য চাকরি নিশ্চিত। আর যদি বিদেশ যেতে চাই: টেলিকমিউনিকেশনের এক বিশাল জগত অপেক্ষা করছে বাহিরের দেশ গুলোতে। একদিকে যেমন রয়েছে উচ্চতর ডিগ্রীর সুযোগ তেমনি চাকরির বিশাল বাজার। এইখানে তোমাকে বলার চেয়ে আমি বলব, একটু গুগল কর তো, উত্তর পেয়ে যাবা। বলে রাখি অ্যামেরিকায় একজন টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের বার্ষিক বেতন ৬০ হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেশি হয় কিন্তু। টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর কে টেলকো বলা হয়।

এই হল ফিরিস্তি। তুমি যদি রুয়েটের ইটিই তে পড়তে চাও, রুয়েটের ইটিই সিলেবাসের লিঙ্ক: http://goo.gl/S1CXtV

সবসময়ের জন্য শুভকামনা।

  • রুবাইয়া শবনম চৈতী (ইটিই ১২ সিরিজ, রুয়েট)