পুরকৌশল- প্রকৌশলবিদ্যার অন্যতম শাখা। সঙ্গত কারনেই সারা পৃথিবীর প্রকৌশল বিদ্যায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই শাখাটি। স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার তাদের জন্যই পুরকৌশল।
চাহিদার কথা বলতে গেলে বলতে হয় কিছু কিছু বিষয়ের চাহিদা সেই প্রাচীন কালেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পুরকৌশল তেমনি একটি বিষয়। অনেকের ধারনা এই বিষয় পড়লে ঘুষ খেতে হয় কিংবা এই প্রকৌশলীদের বেতন নাই। কিন্তু ভাল মন্দ সম্পূর্ণ নিজের কাছে।
কেউ যদি দুর্নীতি করতে চায়, যে কোন জায়গা থেকেই তা করতে পারে। ভাল থাকতে চাইলে যে কোন জায়গাতেই ভাল থাকা সম্ভব। আর বেতনের কথা বলা যায় skill থাকলে এই বিষয়ে যত উপরে যাওয়া যায়, অন্য কোন বিষয়ে তা সম্ভব না, তা দেশেই হক আর বিদেশেই হোক।
আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের গড় বেতন সবচেয়ে বেশি। তবে তার মানে এই নয় যে সবাই high salary র job পাবে, এজন্য তোমাকে সেই পর্যায়ের skill develop করতে হবে। এটা শুধু পুরকৌশল নয়, সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কি কি পড়ানো হয় - পুরকৌশল একটা ব্যাপক বিষয়। তবে interest আর পরিশ্রম থাকলে সহজেই ভাল করা সম্ভব। এইখানে প্রধানত যেই বিষয় টা পড়ানো হয় তা হল mechanics, এছাড়া ড্রয়িং, designing এর উপর ও ভাল দখল থাকা চাই। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা চারটি
I. Structural Engineering II. Transportation Engineering III. Geotechnical Engineering IV. Environmental Engineering
এছাড়া Water Resource কেও পুরকৌশলের একটা শাখা বলা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট প্রকৌশল ভার্সিটি তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ আছে।
কাজের ক্ষেত্র - I. সড়ক ও জনপদ II. গণপূর্ত বিভাগ III. Real estate company IV. নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ V. পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational company VI. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন multinational NGO
পরিশেষে বলা যায়, যাদের পুরকৌশলে আগ্রহ আছে তারা নির্দ্বিধায় এ পেশায় আসতে পার। ভবিষ্যৎ খুব খারাপ হবে না ইনশাল্লাহ।
সবার জন্য শুভ কামনা।
লিখেছেন হোসাইন শোভন , পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট