University subject review

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হল চিকিৎসা ক্ষেএে ইঞ্জিনিয়ারিং নীতি এবং প্রযুক্তির প্রয়োগ ।

এখানে মূলত প্রকৌশল বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মেডিসিন , রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য গবেষণা করা হয় । আধুনিক যুগে ক্যান্সার চিকিৎসায় সফলতা মিলেছে বায়োমেডিকেলের বদৌলতে । যেসব বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায় এই সাবজেক্ট পড়ে :

লিনিয়ার অ্যাকসিলেটর ,রেডিওথেরাপি , চিকিৎসা পদার্থবিদ, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এবং মেডিকেল ডিভাইস টেকনিশিয়ান ।

যেসব বিষয় নিয়ে এই সাবজেক্টে পড়াশোনা ও গবেষণা করা হয় :

১। টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং

২। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং

৩। নিউরাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৪। ফার্মাসিউতিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৫। মেডিকাল ডিভাইস তৈরি ইত্যাদি

বাংলাদেশে BUET , AIUB , KUET , MIST ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়াশোনা করা যায় ।গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পরই স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানি যাওয়া যায় ।

পৃথিবীর সকল দেশে বিশেষত উন্নত দেশগুলোতে এ পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে একজন বাংলাদেশী টাকায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা মাসে আয় করে থাকে। আমেরিকা, ইউরোপের মত দেশগুলোতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা মাসে আয় সম্ভব। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এ সেক্টরে পর্যাপ্ত জনবলের ঘাটতি রয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশেও এই পেশার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ক্যানসার সচেতনা যেভাবে বাড়ছে এবং সহজে ক্যানসার ধরা পড়ছে সে তুলনায় চিকিৎসা পদার্থবিদের সংখ্যা এখানে অনেক কম। বাংলাদেশে হাতে গোনা অল্প কয়েকজন বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের দেশে যেখানে বর্তমানে ৩২০টি লিনিয়ার অ্যাকসিলেটর, ১৬০টি রেডিওথেরাপি কেন্দ্র, ৫০০ জন চিকিৎসা পদার্থবিদ, ১০০০ জন রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এবং ৮০০ জন টেকনিশিয়ান থাকা প্রয়োজন সেখানে বর্তমানে মাত্র ১২টি লিনিয়ার অ্যাকসিলেটর, ১৮টি রেডিওথেরাপি কেন্দ্রে সরকারী ৩০ জন মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট, ১২০ জন রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এবং ১০০ জন টেকনিশিয়ান রয়েছেন। তাই একজন চিকিৎসা পদার্থবিদের জন্য চাকরির দুয়ার বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ায় খোলা।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ সেন্টার, পরমাণু শক্তি কমিশন, রেডিওথেরাপি সেন্টার, চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুতকারী কোম্পানীতে এ পদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সরকারী চাকুরিতে এ পদ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয়।