ইংরেজির সঙ্গে সাহিত্য জুড়ে দিলেই শব্দটি বেশ সহনীয়, আকর্ষণীয় ও মোহনীয় মনে হয়। আর ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল ভুবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রথম বাধা হচ্ছে ভাষা। আসলে ইংরেজি সাহিত্যকে মুখ্য ধরে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আনার প্রচেষ্টা শুধু ফলপ্রসূ নয় বরং এটি সুদূরপ্রসারীও বটে।
কয়েক বছর আগে সৌদি আরব থেকে একটি রিত্রুক্রটমেন্ট টিম বাংলাদেশে এসেছিল তাদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য ৬০০ শিক্ষক নিয়োগ দিতে। দুর্ভাগ্যবশত তারা ২০ জন শিক্ষকও নিয়োগ দিতে পারেনি শুধু ইংরেজি শিক্ষায় যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ার কারণে। English and literature সাবজেক্টটা কেমন? আসলেই ভাববার বিষয়! বর্তমান সময়ে pure সাবজেক্টের কোনো খাওয়া নাই। যে কয়টা এখনো দুর্দান্ত তারমধ্যে English and literature অন্যতম। স্কুল,কলেজে শিক্ষকতা করতে পারবেন জানা কথা। এই সাবজেক্টের শিক্ষার্থীরা জব সেক্টরে ভাল করছে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরে English ডিপার্টমেন্টের ভাইদের সম্পর্কে একটা কথা বলা হয় “এরা বিসিএসে কপাল খারাপ হলে বিসিএস আনসার পায়”। এটাও শুনেছি সবথেকে বেশি বিসিএস নাকি এই সাবজেক্টের ভাইদের হইসে। ঢাবির English and literature ও সেইইইই! স্বাভাবিকভাবেই এই সাবজেক্টের ভাইয়েরা English এ ভালো যার কারনে এদের কর্পোরেট সেক্টরে জব পাওয়া সহজ। শুধু কর্পোরেট জবই না, প্রতিটা জব সেক্টরেই চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান চায় এমন employee কে নিতে যে কিনা English এ ভাল। বোঝেন অবস্থা! সম্প্রতি SESIP এ একজন সিনিয়র ভাইয়ের ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনলাম। ওনার রিটেনে ভাল নাম্বার ছিল। তো বোর্ড ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কি এক ইংরেজি নাটকের শেষ লাইন (ম্যকবেথ না ওথেলো এই টাইপের) ভাইজান আবার English and literature এর। মুখের উপর পুরাটা কইয়া দিলেন। ব্যাস বোর্ডে যে স্যার ছিলেন তার তো আর আবেগে ধরে না! ভাই রে কইলেন-“অনেক রে ধরসি এই পর্যন্ত কেও এই প্রশ্ন পারে নাই” (স্যার থামেন, সবাই ইংরেজির ছাত্র না, উনি ইংরেজির ছাত্র না হইলে উনিও পারত না) এরপর ওনাকে আর প্রশ্ন করে নাই বোর্ড পুরাই সন্তুষ্ট। বাস্তবতা হলো যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সাবজেক্টে পড়ে তারা একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই ভালো ভালো জব পাবেন। আর স্কুল কলেজে পড়ানো তো রইলই।
তবে এটাও মনে রাখবেন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীরা যারা ভাল ফলাফল করে তারা ভবিষ্যতে ভাল চাকুরীর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে। যারা সামান্য ভুলের কারণে, নিয়মমাফিক পড়াশুনা না করার কারণে ভাল ফলাফল করতে পারে না, তাদের দুঃখের সীমা থাকে না এবং তাদেরকে সহানুভূতি দেখানোরও কেউ থাকে না।
মোঃ রাজীব অর্থনীতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ।